Blogroll

স্রষ্টা মানুষ কে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ভাল কিংবা খারাপ নানান গুণাবলী দিয়ে যেন মানুষ নিজেই নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে পারে । দিয়েছেন বিবেক বুদ্ধি । এ জন্যই মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত সৃষ্টির সেরা জীব বলে আখ্যায়িত। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব বলেই অন্য কারো জীবন সে নষ্ট করবার ক্ষমতা কোনোভাবেই রাখেনা। মানুষের জীবন নষ্ট হয় তার নিজের জন্য। কেননা বিধাতার দেয়া গুণাবলীগুলো সে ভালভাবে কাজে লাগাতে পারেনা বিধায় বিপথে যায়, একটা সময় যখন সে অনুধাবন করতে পারে তার ভুলগুলো তখন সে অন্যর উপর দোষ দেয় । তাই কারো জীবন কেউ নষ্ট করতে পারে না ।মানুষ নিজেই নিজের জীবন নষ্টের জন্য দায়ী।

জীবনের কত
কথা জমে থাকে না বলার
ভিড়ে। বছরের মত
বছর চলে যায় কিন্তু
বলা হয়ে ওঠে না।
না বলা কথা গুলো ভিড়
জমতে থাকে স্মৃতি নামক
খাতার পাতায়।
কখনো একাকী রজনী কিংবা বিষন্ন
দিনে না পাওয়ার
হিসেব গুলো বড্ড
জ্বালায় পোড়ায়
মনকে। যখন
বলাটা ভুল
মনে হয়ে ছিল
তখন বলা হয়নি, আজ
দেড় বছর পরে মনে হয়
বলাটাই মনে হয় ঠিক
ছিল। আবার তখন
যা ঠিক মনে হয়েছিল
তা আজ ভুল মনে হয়।
এখন তোমাকে অনেক
কিছু
বলতে ইচ্ছে করে।
কিছুই
তোমাকে বলা হয়নি
হয়ত কখনো হবেও না।
আমি এখন
মনকে নিছক
স্বান্থনা দেই
এবং অপেক্ষা করি সেই
দিনের প্রত্যাশায় ,
যখন
মনে হবে আমার
ভাবনা গুলো ভুল ছিল।
তাই আজ
তোমাকে বলতে যে ইচ্ছে করছে তা জমিয়ে রাখছি।
সময়ের
তালে চলতে চলতে হয়ত
মনে হবে না বলে ভালই
হয়েছে।
নিজের
সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারিনা।
যা অপছন্দের তা এখন
ভাল লাগে,
যা ঘৃনা ভরে দূরে সরিয়ে রেখেছি তা এখন
কাছে টানে।
যা কে নিয়ে কখনো স্বপ্ন
তো দূরের
কথা হঠাং করে কল্পনা ও
করিনি। তাই এখন
ধ্যান জ্ঞান।
কখনো বিষন্ন আবার
কখোনো ভাল
লাগা সব মিলে কেমন
জানি।
যা কাউকে বলতে পারিনা।
আর
কোনদিন পারব ও না।
স্মৃতির
পাতায় হয়ত এটাও
স্থান
করে নেবে। হয়ত
কয়েক বছর পর
তোমার সাথে হঠাৎ
গল্পের ছলে বলে দিব ।
অথবা কোন এক
স্মৃতি রোমন্থন
ক্ষনে অবসর পার
করব এসব
ভেবে ভেবে।
নতুবা ৩রা নভেম্ববরের
মত কাকতালীয়
ভাবে কখনো একাকী পায়ে হেটে যাওয়ার
সময় দেখা হয়ে যাবে,
যদিও বা কথা না।
তাতেই বা মন্দ কিসে।
যদি এভাবেই
কাটে জীবন। কাটুক
না । দিন বদলের
ক্ষণে।
একবার এক ছোট্ট ছেলে তার মায়ের সাথে শপিং
করতে দোকানে গেল। দোকানদার এত সুন্দর
একটা ছেলেকে দেখে খুব খুশি হলো,সেতখন
একটা চকলেটের বাক্স নিয়ে এসে বললো,
'বাবু, তুমি এখান থেকে কিছু চকলেট নাও।'
কিন্তু ছেলেটি নিলো না।দোকানদার এতে ভীষন অবাক
হয়ে গেল! এত ছোট একটা ছেলে কিন্তু
কেন সে চকলেট নিচ্ছে না?তাই সে তাকে
আবার নিতে বললো।
এবার ছেলেটার মাও শুনতে পেল এবংবললো,
'তুমি চকলেট নিতে পারো বাবু।'
এরপরেও ছেলেটি নিল না। সে যখন নিজে থেকে নিচ্ছিলোই
না তখন সেইদোকানদার নিজেই তার
হাত দিয়ে চকলেট তুলে সেই ছেলেটিকে দিলো।
এবার ছেলেটি চকলেট নিলো এবং সে তার
দুই হাত ভর্তি চকলেট পেয়ে খুব খুশি হলো।
বাড়ি ফেরার সময় তার মা তাকে জিজ্ঞেস করলো যখন
দোকানদার আংকেলতাকে চকলেট
নিতে বললো তখনসে তা নিলো না কেন?
আপনি কি ধারনা করতে পারেন ছেলেটি কি
উত্তর দিয়েছিলো? সে বললো,
''আম্মু!আমার হাত অনেক ছোট,তাই আমিযদি চকলেট
নিতাম তবে খুব কম নিতে পারতাম।
কিন্তু আংকেল যখন দিলো তখন সে তারবড় বড় হাত
দিয়ে দিলো,তাই দেখো,
আমি কত বেশি চকলেট পেলাম!''
শিক্ষাঃ আমরা যখন আল্লাহর পৃথিবীকিছু নেই
তখন খুব কমই নিতে পারি,কিন্তু যখনআমাদের
ভাল কাজের প্রতিদানে আমাদের কিছুদেন তখন
এত বেশি পরিমানে দেন যা আমরা চিন্তাও করতে পারি না।

  • জীবন এত ক্ষণস্থায়ী বলেই মাঝে মাঝে সবকিছু এমন সুন্দর মনে হয়।

  • বেশি দিন ভালবাসতে পারে না বলেই ভালবাসার জন্য মানুষের এত হাহাকার।

  • তুমি যদি কাউকে হাসাতে পার, সে তোমাকে বিশ্বাস করবে। সে তোমাকে পছন্দও করতে শুরু করবে।

  • হৃদয়ের গভীরে যার বসবাস, তাকে সবকিছু বলতে হয় না। অল্প বললেই সে বুঝে নেয়।

  • মানবহৃদয় আয়নার মত। সে আয়নায় ভালবাসার আলো পড়লে তা ফিরে আসবেই।

  • কাগজে-কলমে কোন সৌন্দর্যের যথার্থতা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। সৌন্দর্যের মুখোমুখি গিয়ে দাঁড়াতে হয়।

  •  সুখী হওয়ার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে মানুষের। এ জগতে সবচেয়ে সুখী হচ্ছে সে, যে কিছুই জানে না। জগতের প্যাঁচ বেশি বুঝলেই জীবন জটিল হয়ে যায়।

  • সব শখ মিটে গেলে বেঁচে থাকার প্রেরণা নষ্ট হয়ে যায়। যেসব মানুষের শখ মিটে গেছে তারা অসুখী।

  • যার কাছে ঘুম আনন্দময় সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। অতি সামান্য জিনিসও মানুষকে অভিভূত করে ফেলতে পারে।

  • খুব বেশি সুন্দর কোন কিছু দীর্ঘস্থায়ী হয় না। খুব ভাল মানুষরাও বেশি দিন বাঁচে না। স্বল্পায়ু নিয়ে তারা পৃথিবীতে প্রবেশ করে।

  • যখন কেউ কারো প্রতি মমতা বোধ করে, তখনই সে লজিক থেকে সরে আসতে শুরু করে। মায়া-মমতা-ভালবাসা এসব যুক্তির বাইরের ব্যাপার।

  • বেশি নৈকট্য দূরত্বের সৃষ্টি করে। প্রিয়জনদের থেকে তাই দূরে থাকাই ভাল। সম্পর্ক স্থির নয়, পরিবর্তনশীল।

  • অতি দ্রুত যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, উষ্ণতা কমে যেতেও তার সময় লাগে না।

  • স্মৃতি সুখ বা দুঃখের যাই হোক, সবসময়ই কষ্টের। দুঃখ-কষ্ট-বেদনা ছড়াতে হয় না। ছড়িয়ে দিতে হয় আনন্দ। দুঃখ ভুলে যাওয়া কঠিন। তবে সুখস্মৃতি মনে রাখা তার চেয়েও একটু বেশি কঠিন।

  • মোহের কাছে পরাজিত হওয়া ঠিক নয়। কিন্তু খুব কম মানুষই মোহযুদ্ধে অপরাজিত থাকে।

  • সুন্দর স্বপ্ন আফসোসেরও কারণ। বাস্তবতা যতই মধুরই হোক, স্বপ্নের মত হয় না। স্বপ্ন পূরণ হতেই হবে সেটা কিন্তু সত্যি নয়। স্বপ্ন দেখতে হয় আর সেটার জন্য কাজ করতে হয় - এটা হচ্ছে সত্যি।

  • প্রতিজ্ঞা করার আগে তাই একটু হলেও ভাবা উচিত। মিথ্যা দিয়ে হাসানোর চেয়ে সত্য বলে কাঁদানোই শ্রেয়।

  • চোখের জলের মত পবিত্র কিছু নেই। এই জলের স্পর্শে সব গ্লানি-মালিন্য কেটে যায়।

  • কিছু কথা শুধু নিজের ভেতর রাখো। দ্বিতীয় কেউ জানবে না। কোনভাবেই না। দুই জন জানলে বিষয়টা গোপন থাকে। তিনজন জানলে নাও থাকতে পারে। আর চারজন জানা মানে সবাই এক সময় জেনে যাবে।

  • রহস্য সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। কৌতূহলেরও জন্ম দেয়।

  • বলার আগে শুনে নাও, প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগে চিন্তা কর, সমালোচনার আগে ধৈর্য্য ধর, প্রার্থনার আগে ক্ষমা চাও, ছেড়ে দেয়ার আগে চেষ্টা কর।

  • না চাইতেই যা পাওয়া যায়, তা সবসময় মূল্যহীন।

  • পায়ের আলতা খুব সুন্দর জিনিস। কিন্তু আলতাকে সবসময় গোড়ালীর নিচে পড়ে থাকতে হয়, এর উপরে সে উঠতে পারেনা।

  • অতিরিক্ত যেকোন কিছু পতন নিয়ে আসে। সবকিছু তাই নির্দিষ্ট সীমায় রাখাই শ্রেয়।

  • চুপ থাকা খুব সহজ একটা কাজ। পারস্পরিক বহু সমস্যার সমাধান শুধু চুপ থাকলেই হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের সবচেয়ে বড় অযোগ্যাতা হচ্ছে সে মুখ বন্ধই রাখতে পারে না, অপ্রয়োজনে অনর্গল বকে যায়।

  • দুর্নামকারীরা সাধারণত আড়ালপ্রিয়। সামনে ভাল মানুষ সেজে বসে থাকে।

  • বুদ্ধিহীনরা তর্কবাজ হয়। নিজের বুদ্ধির অভাব তর্ক দিয়ে ঢাকতে চায়।

  • বিচার যখন থাকে না, সমস্যার সমাধানও হয় না। সব সমস্যা বরং পুঞ্জীভূত হয় আরও। আমাদেরও তাই হচ্ছে।

  • পরিস্থিতিই মানুষকে তৈরি করে। পরিস্থিতি যখন বদলে যায়, মানুষও তখন পাল্টে যায়। মানুষ আসলে জলের মত। পাত্রের সঙ্গে সঙ্গে সে তার আকার বদলায়।

  • এই পৃথিবীর প্রতিটি দিনই সম্ভাবনার। সম্ভাবনাময়ী এখানে আসলে আমাদের প্রতিটি মুহুর্তই।

  • মানবজাতি ধীরে ধীরে সব সুযোগকেই উপলদ্ধি করবে। অবশ্যই সব সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিবে।

  • উপকার করার পর 'করেছি' বলার চেয়ে সাহায্য না করাই শ্রেয়।

  • জীবনের জটিল ও মূল বিষয়গুলো মানবজাতির কাছে রহস্যাবৃত হয়ে থাকে। এর চেয়ে সুন্দর আর কী হতে পারে?

  • চলতে শুরু না করলে পথ হারাবার ভয় থাকে না। কিন্তু তাতে গন্তব্যে পৌছানোর আশাও ফুরিয়ে যায়। মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ কারও কাছ থেকে বিদায় নেয় না। মায়া নামক ভ্রান্তি তাকে ত্যাগ করে। গ্রাস করে তখন ভয় নামক অনুভূতি। মৃত্যু ভয়াবহ নয়, কুৎসিতও নয়। এর সৌন্দর্য জন্মের চেয়ে আসলে কোন অংশে কম নয়। এই অংশের সাথে পরিচিত নই বলেই আমরা একে এত ভয় পাই।

  • ভয়াবহ বিপদ কিংবা দুর্যোগের সামনে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। একে অন্যের কাছে আশ্রয় খোজেঁ, আশ্রয় খোঁজে প্রকৃতির কাছে। সবাই দাঁড়িয়ে যায় একই কাতারে। বৈষম্য ও অনাচার বেষ্টিত এই আবাসভূমি হয়ে যায় সাম্যবাদের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। বড় ধরণের বিপদ-আপদের প্রয়োজন তাই পৃথিবীতে এখনও আছে।প্রতিটি বিপদের দুটি অংশ থাকে। বিপরীত অংশটি হল জীবন।

  • নগদ টাকা আলাদীনের চেরাগের মত। হাতে থাকলে পৃথিবী নিজের হয়ে যায়।

  • পথ কখনও শেষ হয় না। দীর্ঘ ভ্রমণের পর গন্তব্যে পৌছেও কেউ স্থির থাকে না। ছুটতে শুরু করে অন্য কাজে, অন্য পথে, অন্য আরেক লক্ষ্যস্থলে।

  • এক একটি দিন শেষ করে আমরা এগুতে থাকি চুড়ান্ত যাত্রার পথে। মানবমৃত্যুই পথের সমাপ্তি। নিরন্তর ছুটে চলা মানুষের শেষ গন্তব্য। সবাই মারা যায়। কিন্তু সবাই চলে যায় না।

  • নিঃস্বার্থ কর্মী মানুষরা মৃত্যুর পরও থেকে যায়, কর্মপূণ্যে থেকে যায় মানুষের মনে - যুগের পর যুগ ধরে।

  • সৎ থাকো। অবশ্যই সুখী হবে।
    ***